ওজন কমাতে মেথি খাওয়ার উপকারিতা

ওজন কমাতে মেথি খাওয়ার উপকারিতা অনেক।মেথিতে রয়েছে বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান এবং এন্টিঅক্সিডেন্ট যা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। এছাড়াও খালি পেটে মেথি খাওয়ার উপকারিতা অনেক। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে নিয়ম করে মেথি খেলে অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা পাওয়া যায়।
ওজন কমাতে মেথি খাওয়ার উপকারিতা
প্রিয় পাঠক,আপনি যদি মেথির গুনাগুন ও উপকারিতা সম্পর্কে না জেনে থাকেন তাহলে আমাদের এই পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। এই পোষ্টের মাধ্যমে জানতে পারবেন ওজন কমাতে মেথি খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে এবং ডায়াবেটিস, গ্যাস্ট্রিক ও চুল পড়া সমস্যা সমাধান হিসেবে মেথি কতটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

ভূমিকা

মেথি সাধারণত বিভিন্ন রান্নার কাজে মসলা হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এটি খাবারের সুগন্ধ ও স্বাদ বাড়াতে সাহায্য করে। এটি স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী একটি বীজ। মেথির বীজে অনেক রকমের ভিটামিন এবং খনিজ পাওয়া গেছে এছাড়াও মেথির বীজ দিয়ে নানা রকমের রোগ নিরাময় করা যায়। তাছাড়াও ওজন কমাতে মেথি খাওয়ার উপকারিতা অনেক।

সকালে খালি পেটে মেথি খাওয়ার উপকারিতা অপরিসীম।মেথি শরীরের প্রদাহ দূর করতে সাহায্য করে।মেথিতে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে অদ্রবনীয় ফাইবার যা হজম শক্তি বৃদ্ধি করে।এছাড়াও মেথি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর করে। তাছাড়াও মেথি। চুল লম্বা করতে সাহায্য করে।মেথিতে রয়েছে বিভিন্ন রকমের পুষ্টিগুণ এবং এন্টিঅক্সিডেন্ট যা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী।

খালি পেটে মেথি খাওয়ার উপকারিতা

সকালে খালি পেটে মেথি খাওয়ার উপকারিতা অনেক। মেথির বীজ বিভিন্ন রকমের রোগ নিরাময় করতে সাহায্য করে। নিয়ম মেনে মেথিক খেলে বিভিন্ন রকমের স্বাস্থ্য প্রকারীতে পাওয়া যায়। নিম্নে সকালে খালি পেটে মেখে খাওয়ার উপকারিতা গুলো আলোচনা করা হলো।
  • মেথি ভিজানো পানি স্বাস্থ্যর জন্য ভীষণ উপকারী এতে আছে ফাইবার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং বিভিন্ন উপাদান যা মানব দেহের হজম সমস্যা দূর করতে অনেক কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। মেথি বীজ সারারাত পানিতে ভিজিয়ে রেখে সকালে খালি পেটে সে পানি ছেঁকে খেলে অনেক উপকার পাওয়া যায়।
  • কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে মেথি। এর মধ্যে থাকা উপাদান হজম ক্ষমতা বাড়ায়। ফলে নিয়মিত মেথি খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
  • মেথির মধ্যে থাকা দ্রবণীয় ফাইবার কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। সকালে খালি পেটে মেথি ভেজানো পানি খেলে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে থাকে।
  • মেথিতে আছে নিকোটিনিক ও প্রোটিন, যা মাথার ত্বকের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করে। যেমন-খুশকি, টাক পড়া, চুল পড়া ইত্যাদি।
  • মাতৃদুগ্ধ বাড়াতে মেথি ওষুধের বিকল্প হিসেবে কাজ করে। নিয়মিত মেথি ভেজানো পানি খেলে নারীদের মাতৃদুগ্ধ অনেক অংশে বেড়ে যায়।
  • চুল লম্বা করতে মেথির উপকারিতা অনেক স্বাস্থ্যজ্জল চুলের জন্য নিয়মিত মেথি ব্যবহার করা যেতে পারে। চুল পড়া কমায় এবং নতুন চুল জন্মাতে সাহায্য করে।পরিমাণ মতো পানিতে মেথি দিয়ে ভালোভাবে ফুটিয়ে নিতে হবে, ফুটানো পানি ঠান্ডা হলে তা তুলে দিতে হবে। নিয়মিত মেথি ফুটানো পানি চুলে দিলে চুলের খুশকি দূর হবে এবং চুল পড়া কমানোর পাশাপাশি নতুন চুল গজাবে।
  • মেথি ভেজানো পানিতে থাকে এমোনিয়া এসিড, এটি রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুবই উপকারী। নিয়মিত মেথি ভেজানো পানি খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে।
  • মেথি বিভিন্ন রকম ঠান্ডা জনিত সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। যেমন- হাঁপানি,কাশি, বুকে কফ জমা, ব্রঙ্কাটিস ইত্যাদি ।
  • প্রতিদিন সকালে খালি পেটে মেয়েটি ভেজানো পানি খেলে শরীরে ফাইবারের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়, এতে ক্ষুধা কমে যায়,এর ফলে ওজন কমানো অনেক সহজ হয়ে যায়।

ওজন কমাতে মেথি খাওয়ার উপকারিতা

ওজন কমাতে মেথি খাওয়ার উপকারিতা অনেক।মেথির বীজে থাকে পর্যাপ্ত পরিমানে অদ্রবনীয় ফাইবার যা হজমের জন্য খুবই ভালো কাজ করে এবং দেহের সঞ্চিত টক্সিনগুলো মলত্যাগের মাধ্যমে দেহ থেকে বের করে দিতে মেথি গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করে।এছাড়াও মেথি রক্তে শর্করার মাত্রা হ্রাস করে এবং শরীরে প্রদাহ নিয়ন্ত্রন করে।

আরও পড়ুনঃ ওজন কমাতে কালোজিরা খাওয়ার উপকারিতা

শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমানোর জন্য মেথির কার্যকরী ভূমিকা রয়েছে। নিয়মিত মেথি খেলে শরীরে জমে থাকা মেদ ঝরে যায় ফলে শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমে যায়।ওজন কমাতে মেথি খাওয়ার উপকারিতা অনেক।তবে দ্রুত অজন কমানোর জন্য কিছু নিয়ম মেনে মেথি খেতে হবে। আসুন তবে যেনে নেওয়া যাক কি কি উপায়ে মেথি খেলে ওজন তাড়াতাড়ি কমবে।

সকালে খালি পেটে মেথি ভেজানো পানি পান করুনঃ
সকালে খালি পেটে মেথি ভেজানো পানি পান করলে ওজন খুব দ্রুত কমে যাওয়া সম্ভবনা থাকে। এক গ্লাস পানিতে এক চা চামচ মেথি সারারাত ভিজিয়ে রেখে সকালে খালি পেটে এ পানিতে পান করুন।মেথি ভেজানো পানি সকালে পেট পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও মেথিতে ক্যালরি খুব কম থাকায় এটি ওজন কমাতে ভূমিকা পালন করে। ভালো ফলাফল পেতে দিনে দুইবার মেথি ভেজানো পানি পান করতে পারেন।

ওজন কমাতে মেথি বীজ এবং মধু খেতে পারেনঃ
ওজন কমানোর জন্য মেথি বীজ এবং মধু একসঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারেন। এতে তাড়াতাড়ি ওজন কমবে।অল্প পরিমান মেথি গুড়া করে এর মাধ্য এক চামচ মধু মিশিয়ে প্রতিদিন খেতে পারেন। মধু একটি প্রাকৃতিক বুস্টার হিসেবে কাজ করে্রর।এবং এটি শরীর থেকে প্রদাহ অপসারণ করে। মধুতে ক্যালরি কম থাকার জন্য এটি শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণ রাখে।

মেথির চা পান করুনঃ
ওজন কমানোর জন্য মেথির চা পান করতে পারেন।মেথির চা শরীরের ফ্যাট বার্ন করতে সাহায্য করে। মেথির চা বানানোর জন্য একটি পাত্রে ২কাপ পরিমান পানির মধ্যে ১চা চামচ মেথি,অল্প পরিমান আদা,কয়েকটি দারচিনি মিশিয়ে অল্প আঁচে ফুটাতে থাকুন। পানি ফুটে যখন পরিমান কমে ১ কাপ হবে তখন চুলা থেকে নামিয়ে নিন।এবার ছাকনা দিয়ে ছেকে নিন। ভালো ফলাফল পেতে এই চায়ের মধ্যে লেবুর রস মিশিয়ে পান করুন।দারুচিনি ও আদা শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমাতে সাহায্য করে এবং প্রদাহ দূর করে।ভালো ফলাফল পাওয়ার জন্য মেথির চা দিনে ২-৩ বার পান করতে পারেন।

অঙ্করিত মেথি বীজ খেতে পারেনঃ
সকালের খাবারের তালিকায় এই মেথি বীজ রাখুন।সমীক্ষা করে জানা গেছে অঙ্করিত মেথি বীজে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমানে পুষ্টিগুন।এই বীজ খুব সহজেই হজম হয়ে যায়।এই বীজে রয়েছে প্রচুর পরিমানে এন্টিঅক্সিডেন্ট যা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারি।এজন্যই বলা হয়েছে ওজন কমাতে মেথি খাওয়ার উপকারিতা অনেক।

মেথির বিভিন্ন পুষ্টিগুন

মেথিতে রয়েছে বিভিন্ন প্রকার পুষ্টিগুণ যা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। নিম্নে বিশেষজ্ঞদের মতে মেথিতে কি কি পুষ্টিগুণ রয়েছে তা উল্লেখ করা হলো-
  • ভিটামিন বি
  • ফলিক এসিড
  • নিয়াসিন
  • থায়ামিন
  • রাইবোফ্লাভিন
  • ভিটামিন এ,বি৬
  • পটাশিয়াম
  • ক্যালসিয়াম
  • কপার
  • সেলেনিয়াম
  • আয়রন
  • ম্যাংগানিজ
  • জিংক
  • ম্যাগনেসিয়াম

পুরুষের জন্য মেথি খাওয়ার উপকারিতা

  • মেথি পুরুষের শরীরের টেস্টোস্টেরন হরমোনের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে সাহায্য করে।
  • মেথি শরীরের বাত ব্যাথা সারিয়ে তুলতে অনেক কার্যকরী।
  • পিত্তজনিত সমস্যা দূর করে মেথি।
  • নিয়মিত মেথি খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
  • প্রতিদিন মেথি খেলে পুরুষের যৌ*ন ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।

মেয়েদের জন্য মেথির উপকারিতা

  • মেয়েদের পিরিয়ড জনিত সমস্যায় নিয়মিত মেথি খেলে এ সমস্যা দূর হয়। অনিয়মিত পিরিয়ডের জন্য মেথি খুবই কার্যকরী একটি উপাদান।
  • মাতৃদুগ্ধ বাড়াতে মেথি ওষুধের বিকল্প হিসেবে কাজ করে। নিয়মিত মেথি ভেজানো পানি খেলে নারীদের মাতৃদুগ্ধ অনেক অংশে বেড়ে যায়।
  • নিয়মিত মেথি চা পান করলে কিডনি পরিষ্কার থাকে এবং কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি কমে।
  • ওজন কমাতে মেথি খাওয়ার উপকারিতা অনেক। মেথি ভেজানো পানি খেলে অতিরিক্ত ওজন কমে যায়।

চুল লম্বা করতে মেথির ব্যবহার

যে সকল উপাদান চুল ভালো রাখতে কার্যকরী তারমধ্যে মেথি অন্যতম উপাদান।মেথির বীজে রয়েছে চুল ভালো রাখার জন্য একাধিক সব উপাদান। চুল দ্রুত বৃদ্ধি করতে এবং চুলকে স্বাস্থ্যজ্জল রাখতে মেথি সাহায্য করে।মেথিতে যেসকল উপাদান রয়েছে তা চুল ভালো রাখার জন্য যথেষ্ট। মেথি চুল পড়া কমানোর পাশাপাশি নতুন চুল গজাতেও সাহায্য করে।এবং চুল লম্বা করে।

আরও পড়ুনঃ জিলহজ্জ মাসের আমল ও ফজিলত

মেথিতে রয়েছে এন্টিঅক্সিডেন্ট যা চুলকে ভালো রাখতে সাহায্য করে এটি স্ক্যাল্প স্বাস্থ্যকর রাখতে গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করে।মেথি প্রাকৃতিক কন্ডিশনার হিসেবে কাজ করে।মেথিতে রয়েছে পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ফলিক অ্যাসিড ,প্রোটিন ও আয়রন। আপনি আপনার চুল সুন্দর করতে চাইলে নিয়মিত মেথির ব্যাবহার করতে পারেন। তবে চুলের যত্নে জানতে হবে মেথির সঠিক ব্যাবহার।নিম্নে চুল লম্বা করতে মেথির ব্যাবহার আলোচনা করা হলো।

মেথি হেয়ার ওয়েলঃ
চুলের যত্নে ব্যবহার করতে পারেন মেথি হেয়ার অয়েল। এর জন্য প্রথমে পরিমান মতো মেথি গুড়া করে নিন।এবার একটি পাত্রে পরিমান মত নারিকেল তেল গরম করে নিন।গরম তেলের মধ্যে মেথির গুড়া মিশিয়ে কিছুক্ষন হালকা আঁচে গরম করে মিশ্রনটি ছেকে নিন।মিশ্রনটি ঠান্ডা হলে ধীরে ধীরে চুলের গোড়ায় মালিশ করুন।এই অবস্থায় মাথার স্ক্যাল্পেও ভালোভাবে মালিশ করতে হবে।তেল ব্যাবহার করার ১ ঘন্টা পর শ্যাম্পু করে নিন।

মেথি হেয়ার মাস্কঃ
চুলে যত্নে ব্যবহার করতে পারেন মেথি হেয়ার মাস্ক। হেয়ার মাস্ক বানানোর জন্য প্রথমে পরিমাণ মতো মেথি পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। এরপর ভেজানো মেথি ছেকে নিয়ে ব্লেন্ড করুন।ভালো ফলাফল পেতে এর মধ্যে টকদই ব্যাবহার করতে পারেন।ব্যাস হেয়ার মাস্ক রেডি।এবার এই হেয়ার মাক্সটি চুলের গোড়ায় এবং চুলে ভালোভাবে লাগিয়ে নিন।হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করার পর একঘন্টা অপেক্ষা করুন। এক ঘন্টা পর শ্যাম্পু করে নিন।নিয়মিত এই উপাদান গুলি ব্যবহার করলে অনেক উপকার পাওয়া যাবে।

মেথি ভিজানো পানিঃ
চুলের যত্নে আরো ব্যবহার করতে পারেন মেথি ভেজানো ফোটানো পানি। এর জন্য প্রথমে পরিমাণ মতো মেথি সারারাত ভিজিয়ে রাখুন। ভিজিয়ে রাখা মেথি কিছু সময়ের জন্য পানিতে ভালোভাবে ফুটিয়ে নিন। ফুটানো পানি ঠান্ডা করে পানি থেকে মেথি ছেঁকে আলাদা করুন। এবার এই পানিটি ব্যবহার করুন আপনার চুলে।এই পানি আপনি চুল ধোয়ার জন্যও ব্যবহার করতে পারেন।

মেথির তেলের উপকারিতা

মেথি একটু উপকারী উপাদান।মেথির বীজে রয়েছে বিভিন্ন প্রকার পুষ্টিগুণ। মেথির সাথে সাথে মেথির তেলও অনেক উপকারী। মেথির তেলও রয়েছে বিভিন্ন রকমের উপকারিতা ও গুনাগুন। নিম্নে মেথি তেলের উপকারিতা আলোচনা করা হলো।

কিডনিঃ
কিডনি ভালো রাখতে মেথির তেল অনেক উপকারী। মেথির তেল খাওয়ার ফলে অগ্নাশয় ও কিডনি দুটোই ভালো থাকে।

ব্রণ প্রতিরোধঃ
ব্রণের সমস্যার সমাধানে মেথির তেল খুবই উপকারী উপাদান। মেথির তেলের সাথে কিছু পরিমাণ জোজোবার তেল মিশিয়ে মুখে ব্যবহার করলে ব্রণের সমস্যা খুব দ্রুত দূর হয়। এর পাশাপাশি মুখের ব্ল্যাকহেডস কমিয়ে দিতে সাহায্য করে মেথির তেল।

ডায়াবেটিসঃ
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের জন্য মেথির তেল খুবই উপকারী।মেথির তেল রক্তে সরকারের মাত্রা কমিয়ে দেয় এবং ইনসুলিন তৈরি করতে সাহায্য করে। এক টেবিল চামচ তিলের তেলের সাথে মেথি তেল মিশিয়ে খেলে খুব দ্রুত উপকারিতা পাওয়া যাবে।ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের জন্য নিয়মিত মেথির তেল খেতে পারেন। তবে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী খেলে খুবই ভালো হয়।

ওজন নিয়ন্ত্রণঃ
মেথির তেল শরীরে মেটাবলিজম এর মাত্রা অনেকাংশে বাড়িয়ে দেয়। এর জন্য খুবই দ্রুত ওজন কমতে থাকে। এর পাশাপাশি এটি রক্তের ফ্যাট গলতে সাহায্য করে ফলে খিদে কমে যায় এবং সহজেই ওজন কমে এবং মেথির তেল ওজন নিয়ন্ত্রণ রাখতেও সাহায্য করে।

আরও পড়ুনঃ পলিসিস্টিক ওভারি থেকে মুক্তির উপায় 

ডায়াবেটিসে মেথি খাওয়ার নিয়ম

মেথি বীজ উচ্চ আঁশ সমৃদ্ধ যা হজম ও কার্বোহাইড্রেট শোষণকে ধীর করে রক্তের শর্করা কমাতে সাহায্য করে।ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য মেথি খাওয়ার কিছু নিয়ম রয়েছে। এই নিয়ম অনুযায়ী মেথি সেবন করলে ডায়াবেটিস অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব। এক গ্লাস গরম পানিতে ১০ গ্রাম মেথি রাতে ভিজিয়ে রাখুন। সকালে মেথি ভেজানো পানি ছেকে খালি পেটে খেয়ে নিন। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এই অভ্যাসটি অনেক উপকারী।

গ্যাস্ট্রিকের জন্য মেথি খাওয়ার নিয়ম

শরীরের বিভিন্ন রকমের সমস্যা সমাধানের পাশাপাশি মেথি গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা ও সমাধান করে।প্রতিদিন সকালে খালি পেটে মেথি চিবিয়ে খেতে পারেন, এতে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর হয়। তাছাড়াও এক গ্লাস পানিতে মেথি সারারাত ভিজিয়ে রেখে সকালে খালি পেটে সেই পানি পান করতে পারেন। এছাড়াও নিয়মিত মেথির শাক কচি পাতা ও ডগা শাক হিসেবে খেতে পারেন।

মেথির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ও অপকারিতা

যেকোনো জিনিসেরই উপকারিতার পাশাপাশি বিভিন্ন রকমের অপকারিতা রয়েছে। তেমনভাবেই মেথিরও বিভিন্ন রকমের উপকারিতার পাশাপাশি অনেক অপকারিতা ও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে। মেথি খাওয়ার আগে অবশ্যই বিবেচনা করে দেখতে হবে এতে আপনার শরীরের জন্য প্রযোজ্য কিনা। নিম্নে মেথির পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ও অপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।
  • মেথি ভেজানো পানি রক্তের জমাট বাধা প্রতিরোধ করে ফলে রক্ত অনেক পাতলা হয়ে যায়।
  • মেথি তিতা স্বাদযুক্ত হয়ে থাকে। এর ফলে এটি খাওয়ার পর অনেকের বমি বমি ভাব এবং মাথা ঘুরার সমস্যা দেখা দেয়।
  • মেথি পরিমাণে বেশি খেলে পেট ব্যথা, গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা বা ডায়রিয়ার সমস্যা দেখা দিতে পারে।
  • অতিরিক্ত পরিমাণে মেথি খেলে এলার্জি জনিত সমস্যা হতে পারে।

লেখকের মন্তব্য

মেথির বীজে থাকে পর্যাপ্ত পরিমাণ অদ্রবনীয় ফাইবার যা হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। তাছাড়াও মেথিতে রয়েছে বিভিন্ন রকমের পুষ্টিগুণ যা মানব দেহে্র জন্য অনেক উপকারী। এছাড়াও ওজন কমাতে মেথি খাওয়ার উপকারিতা অনেক এবং সকালে খালি পেটে মেথি খাওয়ার উপকারিতা অনেক বেশি।তবে অতিরিক্ত মেথি খাওয়ার ফলে শরীরে বিভিন্ন রকমের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। আপনার যদি কোন স্বাস্থ্য জটিলতা থাকে তাহলে মেথি খাওয়ার পূর্বে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন।

প্রিয় পাঠক,এই পোস্টটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে অথবা এই পোস্টটি পরে আপনি যদি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে পোস্টটি আপনার বন্ধু বান্ধব ও আত্বীয় স্বজনদের সাথে শেয়ার করতে পারেন,যেনো এই পোস্টটি পড়ে উনারাও উপকৃত হতে পারেন।ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আর এস জান্নাত এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন।প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url